Android ফোনের কিছু না জানা কথা
আপনার স্মার্টফোন, আপনার
মানিব্যাগ এর চেয়েও বেশী
মূল্যবান। কিছু ক্ষেত্রে এটি
আপনার কম্পিউটারের কাজ
করে। এতে থাকে অনেক
সংবেদনশীল তথ্য ও
পাসওয়ার্ড। কিন্তু আমরা
বেশিরভাগ মানুষই আমাদের এই
গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসটি রক্ষার জন্য
পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই না।
অনেকেই আবার চার অঙ্কের
একটি পাসওয়ার্ড দিতেও
বিরক্ত বোধ করি।
লন্ডনের রাস্তায় প্রতিদিন
প্রায় ৩১৪টি মোবাইল চুরি হয়
আর বাংলাদেশের ঢাকার
রাস্তায় কতোটি হয় তা না হয়
নিজেই আন্দাজ করুণ। সে যাই
হোক এসব কষ্টের কথা কার না
বলি। আমারা বরং জেনে নেই
কি করে আমাদের এই
স্মার্টফোনকে কিছুটা
নিরাপদ রাখা যায় সে
সম্পর্কে।
সফটওয়্যার আপডেট করুণ:
আপনার স্মার্টফোন এর
উইন্ডোজ ও অপারেটিং
সিস্টেম সর্বদা আপডেট করুণ। এই
আপডেটের ফলে ফোন
প্রস্তুতকারক নেটওয়ার্ক
পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আপনার
হারিয়ে যাওয়া ফোনটি
আপনার কাছে পৌঁছেও দিতে
পারে। যদিও এটা একটু কঠিন
ব্যাপার কিন্তু অসম্ভব কিছু না।
এছাড়াও মোবাইল সফটওয়্যার
আপডেটভ থাকলে আপনার
ফোন সিকিউরিটি কোড
ব্যবহারের মাধ্যমে বন্ধও করে
দিতে পারেন। ফলে আপনার
কোনো তথ্য ফাঁস হওয়ার
সম্ভাবনা থাকবে না।
স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন:
প্রতিটি স্মার্টফোনে
নিরাপত্তা হিসেবে স্ক্রিন
লক করার সুবিধা রয়েছে। পিন,
পাসওয়ার্ড কিংবা প্যাটার্ন
লক পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার
পণ্যটিকে লক করে রাখতে
পারেন। স্মার্টফোন
সিকিউরিটি সেটিংসে
গিয়ে লক সক্রিয় করা যায়।
স্বয়ংক্রিয় বা নির্দিষ্ট সময়
অন্তর লক করা বিষয়টিও সেট
করা যায়। এটি আপনার তথ্য
সমূহকে সংরক্ষণ করবে।
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার
ইনস্টল করুণ:
তথ্য ফাঁস হওয়ার আরেকটি
কারণ হচ্ছে ভাইরাস। এটি ফাঁস
করে দিতে পারে আবার
আপনার মোবাইল ডিভাইজকে
ধ্বংস করে দিতে পারে।
ভাইরাস স্মার্টফোনের
নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।
তাই স্মার্টফোনের
নিরাপত্তার জন্য
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার
ইনস্টল করুণ।
ডিভাইস এনক্রিপ্ট করুন:
স্মার্টফোন আপনার পণ্যের সব
ডাটা এনক্রিপ্ট করার সুবিধা
দেয়। স্মার্টফোন এর
সিকিউরিটি সেটিংস
থেকে ডাটা এনক্রিপ্ট করা
যায়। এতে মোবাইল বা ট্যাব
প্রতিবার চালু করার সময় ডাটা
বা তথ্যে ঢুকতে আলাদা করে
পাসওয়ার্ড ও পিন দেওয়ার
প্রয়োজন পড়ে। এনক্রিপশন করা
থাকলে ফোন যদি দুর্বৃত্তের
হাতে পড়ে এবং একবার বন্ধ
করে তা আবার চালু করে তবে
পিন বা পাসওয়ার্ড ছাড়া তথ্য
চুরি করতে পারবে না। ডাটা
এনক্রিপশন করলে ফোনের গতি
কিছুটা কমে যেতে পারে
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস
ম্যানেজার সচল করুন:
আপনার মোবাইল ফোন যদি
বেহাত হয়ে যায় তখন
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস
ম্যানেজার ফিচারটির
কল্যাণে আপনার পণ্যটিকে
গুগল ম্যাপে ট্র্যাক করতে
পারবেন। এ ছাড়াও মোবাইল
ফোনটি চালু থাকলে পূর্ণ
ভলিউমে টানা পাঁচ মিনিট
কল দিতে পারবেন। এমনকি দূর
থেকেই আপনার সব তথ্য মুছে
দিতে পারবেন। আপনার
মোবাইল ফোনে ডিভাইস
ম্যানেজার চালু রয়েছে
কিনা তা পরীক্ষা করতে
সেটিংস থেকে
সিকিউরিটিতে যেতে হবে।
সিকিউরিটি সেটিংসের
ডিভাইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর
থেকে আপনি ডিভাইস
ম্যানেজার চালু করতে
পারেন।
অ্যাপসের জন্য পাসয়ার্ড
ব্যবহার করুণ:
আপনার স্মার্টফোন বা ট্যাবে
অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নিয়ে অ্যাপস লক ব্যবহার করতে
পারেন। গ্যালারি কিংবা
মেসেজিংয়ের সুরক্ষা
হিসেবে গুগল প্লে থেকে
অ্যাপ লক ডাউনলোড করে
নিতে পারেন। এ ধরনের অ্যাপ
ব্যবহার করলে আপনাকে
আলাদা করে পাসওয়ার্ড বা
পিন কোড সেট করে দিতে
হবে যাতে কোন নির্দিষ্ট
অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে
গেলে আগে পাসওয়ার্ড খুলে
তারপর ঢুকতে হয়।
এপস ইনস্টলে সর্তকতা
যখন তখন যা তা এপ ইনস্টল করবেন
না। কোন বিস্বস্ত সোর্স
ছাড়া এপ ইনস্টল না করাই ভাল।
অনেক সময় এপে নিনা রকম
কোড ব্যবহার করে হাতিয়ে
নিতে পারে আপনার সকল তথ্য।
অনলাইনে সর্তকতা
অনলাইনে এখন পপআপ এডের
অভার নেই। অনেক সময়ই দেখি
লেখা আসে আপনার ফোনটি
ঝুঁকিতে আছে, ফোন স্লো?, বা
এ জাতীয় অনেক কিছু। তার
সমাধানের জন্য ক্লিক করতে
বলে, ভূলেও সেই কাজটি
করবেন না। এতে
অনাকাঙ্ক্ষিত এপ ইনস্টল হবে
যাতে আপনার সেট স্লো তো
হবেই সাথে তথ্য চুরিও হতে
পারে।
আশা করি বিষয়গুলো মাথায়
রেখে আপনার শখের Android বা
স্মার্টফোনটি ব্যবহার করবেন।